বিয়ের তারিখও ঠিক হয়ে গিয়েছিল কুস্তিগির বিক্রম পারখির। তবে নিয়তি লিখেছিল অন্য কিছু। মুলশির জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কুস্তিগির বিক্রম হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বুধবার যথারীতি অনুশীলনে গিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু সেখানেই তার শরীর খারাপ হয় এবং হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তবে কিছুদিন পরেই বিক্রমের বিয়ের কথা ছিল। বিক্রমের মৃত্যুতে কুস্তি জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিক্রম পারখি। কুস্তি মাঠে কঠোর পরিশ্রম ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজের নাম তৈরি করেছিলেন বিক্রম। মুলশি গ্রামের এই কুস্তিগির ৩০ বছর বয়সে পৃথিবীকে বিদায় জানিয়েছেন। ১২ ডিসেম্বর বিক্রমের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু পার্থিব জীবনের আঙিনায় নামার আগেই জীবনের আঙিনায় তার হৃদয় ভেঙে গেল।
বিক্রম পারখি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক শিরোপা জিতেছেন। বিক্রমের অনেক আখড়া জয় করার ক্ষমতা ছিল, কিন্তু নিয়তি তা মেনে নেয়নি। অনেক কুস্তিগীরকে পরাজিত করা বিক্রম হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার আকস্মিক মৃত্যুতে গোটা মুলশি উপজেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।কুস্তিগির বিক্রম পারখি, যিনি মুলশির ছেলে ছিলেন, কুমার মহারাষ্ট্র কেশরী পদে নিজের নাম খোদাই করে সম্মানের গদা পাওয়ার কীর্তি অর্জন করেছিলেন। ওয়ারজেতে মহারাষ্ট্র রাজ্য কুস্তিগির পরিষদ আয়োজিত ২০১৪ সালের মহারাষ্ট্র রাজ্য কুমার চ্যাম্পিয়নশিপ রেসলিং টুর্নামেন্টে বিক্রম জিতেছিলেন। এছাড়াও বিক্রম অনেক জাতীয় পদক এবং শিরোপা জিতেছিলেন। এছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কুস্তি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। হিন্দকেশরী কুস্তিগির অমল বুচদে এবং বিক্রম পারখির মধ্যে গুরু-শিষ্যের সম্পর্ক ছিল। বিক্রমের বাবা শিবাজিরাও পারখি একজন অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক। যিনি ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। বাবা সেনাবাহিনীতে থেকে দেশের সেবা করেছিলেন। ছেলের মৃত্যুতে পরিবারও হতাশায় ডুবে গিয়েছে।